আমেরিকার নিউইয়র্কে চলছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন। বার্ষিক এই আয়োজনে এবারের আলোচনা মূল বিষয়বস্তু পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা। এক সপ্তাহ ধরে বিরতিহীন হামলা চলছে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে।
গত কয়েকদিনে বেড়েছে হামলার ভয়াবহতা। ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমনের হুঁশিয়ারী দিয়ে এ হামলা শুরু করে ইসরাইল বাহিনী। তবে প্রাণ হারাচ্ছে বহু নিরীহ বাসিন্দারা।
ইসরাইলের এ পদক্ষেপে দেশটির নিন্দা জানিয়ে লেবাননের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বিশ্বনেতারা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের ভাষণে অংশ নিয়েছেন ৩৭টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।
তৃতীয় দিনে ভাষণ দিয়েছেন লেবাননের পররাষ্ট্র ও অভিবাসী মন্ত্রী। ইসরাইলি আগ্রাসনে লেবাননের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে উল্লেখ করে সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। দ্রুত ইসরাইলকে থামানো না গেলে লেবানন একটি কালো গহ্বরে পরিণত হবে যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে বলেও অভিমত তার।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানী তার ভাষণে বলেছেন, ফিলিস্তিনের পর এবার লেবাননে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে যা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। লেবাননের সাথে তার দেশের সংহতি ঘোষণা করে সহিংসতা ও ক্রমবর্ধমান ইসলাম ফোবিয়া মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মহলকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সভাপতি চার্লস মিশেলের মন্তব্য, বিশ্ব শান্তিকে অবহেলা করে ইসরাইল নিজেদের নিরাপত্তায় যা করছে তা ভুল এবং লেবাননে হামলা একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত।
লেবাননে ইসরাইলের হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডায় বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দুই নেতা। এ সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, লেবাননের “নতুন গাজা হয়ে ওঠার” বিরোধিতা করে ফ্রান্স। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের “অতিশয় বেদনাদায়ক” বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ দুই পক্ষকেই শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।